বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী বগুড়ার চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল চত্বরে এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ ফয়সাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক আহ্বায়ক ও মঞ্জুরুল আলম মোহনের নেতৃত্বে চারমাথায় গিয়ে আমিনুল গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা মোটর মালিক গ্রুপের অফিস দখলের ঘোষণা দেন। খবর পেয়ে আমিনুলের লোকজন চারমাথা এলাকায় সমবেত হয়। তারা যেকোনোভাবে মোহন গ্রুপকে প্রতিহত করার জন্য মাইকে ঘোষণা দেয় এবং পরিবহন শ্রমিকদের প্রত্যেক হাতে লাঠি নিয়ে অবস্থান নিতে বলে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ ও সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে পুলিশ চারমাথায় অবস্থান নেয়। আমিনুল গ্রুপের লোকজন পুলিশের সামনেই লাঠি মিছিল শুরু করে।
এ সময় মোহন গ্রুপের নেতাকর্মীরা সান্তাহার সড়ক দিয়ে এলজিইডির সামনে অবস্থান নেয়। পুলিশ মাঝামাঝি অবস্থান নিয়ে থাকাকালে মোহন গ্রুপের লোকজন লাঠিশোটা নিয়ে পুলিশের বেরিকেট ভেঙে আমিনুল গ্রুপের লোকজনকে ধাওয়া করে।
প্রায় আধাঘণ্টাব্যাপী দুইপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় জিটিভির ক্যামেরাপারসন রাজু আহম্মেদকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এছাড়াও পুলিশের জেলা বিশেষ শাখার কনস্টেবল রমজান আলী আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে মোহন গ্রুপের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ বিষয়ে মোটর মালিক দুই গ্রুপের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।