বগুড়ায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও তার সোর্সকে অবরুদ্ধ করে রাখে এলাকাবাসী। পরে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানার এসআই মাসুদ রানাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত এবং তার সোর্স ইকবালকে আটক করে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের পর বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া (নাপিতপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নাপিতপাড়ার বাসিন্দারা জানান, বগুড়া সদর থানার এসআই মাসুদ রানা তার সোর্স ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার দুপুরের পর ওই এলাকার তরুণ কুমার শীলের বাসায় যান। তারা পুলিশ পরিচয়ে বাসার ভেতরে ঢুকে তরুণ শীলের মোবাইল ফোন নিজেদের কবজায় নেয়।
এ সময় ওই বাসার ভেতর আরো কয়েকজন যুবক অবস্থান করছিল। পুলিশের অভিযোগ, তারা মোবাইল ফোনে ক্রিকেট ম্যাচের জুয়া খেলছিল। এই অভিযোগে পুলিশের সোর্স ইকবাল তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। একপর্যায়ে বাড়ির লোকজন পুলিশের উপস্থিতির বিষয়টি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করতে গেলে এসআই মাসুদ রানা তাদের মারধর শুরু করেন।
তরুণ শীলের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ বাড়ির নারীদেরও মারধর এবং ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করেছে। এ সময় চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা গিয়ে পুলিশ ও তার সোর্সকে অবরুদ্ধ করে। খবর পেয়ে বগুড়া সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু করে। পরে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরুদ্ধ এসআই ও তার সোর্সকে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, আইপিএলে জুয়া খেলার অভিযোগ পেয়েই সম্ভবত এসআই সোহেল সেখানে যান। পরে জনতা তাদের আটকে রাখে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে এসআই মাসুদ রানাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিষয়ে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করা হবে। মাসুদ রানার সোর্স ইকবালকে আটক করে থানা হাজতে রাখা হয়েছে বলেও জানান ওসি।