বগুড়া সদর উপজেলার ফাঁপোড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও পরিকল্পনাকারী গাওসুল আজমসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২ এর সদস্যরা। এসময় র্যাবের অভিযানে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ৩ রাউন্ড গুলি ও ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- বগুড়া সদরের ফাঁপোর এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে প্রধান আসামি গাউসুল আযম (২৮), রেজাউল করিমের ছেলে ফুয়াদ হাসান মানিক (২৯), কৈচর এলাকার মহসিন আলীর ছেলে মেহেদী হাসান (১৮), ফাঁপোরের আখের আলীর ছেলে আরিফুর রহমান (২৮), বগুড়া শহরের মালগ্রাম এলাকার মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহর ছেলে আলী হাসান (২৮), কৈচরের মাজেদ আলীর ছেলে ফজলে রাব্বী (৩০), বেলগাড়ী এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে আব্দুল আহাদ (২০)।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা ৩০ জুলাই মধ্যরাতে র্যাব সদস্যরা রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালায়। অভিযানে বদরগঞ্জের ছোট হাজিরপুরের ফকিরগঞ্জ গ্রামে রমজান আলী নামে একজনের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা মেহেদী হাসান, আরিফুর রহমান, আলী হাসান, ফজলে রাব্বী, আব্দুল আহাদকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার ৫ জনের তথ্যমতে ভোর সাড়ে সাড়ে ৫টায় বগুড়া সদরের ফাঁপোর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে রকি হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী গাউসুল আযম ও ফুয়াদ হাসান মানিককে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রকিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন গাউসুল আজম। ঘটনার দিন রাতে রকি হত্যাকাণ্ডে গাউসুল আজমসহ ১৫ থেকে ২০ জন অংশ নেন। আগামী ইউনিয়ন নির্বাচন এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারে রকি প্রধান বাধা হয়ে উঠতে পারে এ কারণেই আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্বপরিকল্পনামাফিক গত ২৭ জুলাই রাতে এশার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে পাশের একটি দোকানে কথা বলার সময় রকিকে ফাঁপোড় বাজারে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ২৯ জুলাই রাতে রকির ছোট ভাই রুকু ইসলাম গাওসুল আজমকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন।