বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ প্রিয়া খাতুনকে (২২) হত্যার অভিযোগে ধুনট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। রবিবার দুপুরে নিহত প্রিয়া খাতুনের বাবা হোসেন আলী বাদী হয়ে তার স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
এর আগে শনিবার বিকালে স্বামীর বাড়ির ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় প্রিয়া খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
এঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলো- ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে কাঠমিস্ত্রী সজিব হোসেন (২৫) ও তার মা সাজেদা বেগম (৪৫)।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে কাঠমিস্ত্রী সজীব হোসেনের (২৫) সঙ্গে গত ৫ বছর আগে গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের জোড়খালি গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে প্রিয়া খাতুনের (২২) বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে শাকিল (৩) নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মাদকের টাকার জন্য সে তার স্ত্রীকে মাঝে মধ্যেই মারধর করতো।
গত শুক্রবার সজীব মাদকের টাকার জন্য ঘরে থাকা গ্যাসের চুলা বিক্রির উদ্দ্যেশ্যে বের করে নিয়ে যেতে চাইলে তার স্ত্রী প্রিয়া খাতুন বাধা দেয়। এসময় সে তার স্ত্রীকে বেদম মারধর করে।
এদিকে পরদিন শনিবার দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় লোকজন প্রিয়া খাতুনকে ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। প্রিয়া খাতুন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
এদিকে নিহতের বাবা হোসেন আলী মামলায় উল্লেখ করেছেন, তার মেয়েকে মারপিটের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে মৃতদেহের গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জাহিদুল হক জানান, অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তার বাবা মামলা দায়ের করলে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করে রবিবার বিকেলে বগুড়ার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।