English

24 C
Dhaka
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫
- Advertisement -

বগুড়ায় বিএনপি নেতার হামলায় যুবদল নেতার মৃত্যু

- Advertisements -

বগুড়ার সোনাতলায় বিএনপি নেতার হামলায় আহত যুবদল নেতা রাশেদুল হাসান (২৭) মারা গেছেন। তিনি সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ছিলেন।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক হারুনার রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পাকুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান বাটালু ও তার লোকজন পাকুল্লা বাজারে রাশেদুলের উপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে, রাশেদুলের মৃত্যুর খবর শুনে বিএনপি নেতা বাটালু এবং তার সহযোগীদের ৪-৫টি বাাড় ভাঙচুর করে বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা।

পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে রাশেদুলের উপর হামলা করা হয় বলে জানান পাকুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী হাসান নারুন।

তিনি জানান, গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় যুবদল নেতা রাশেদুল মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার সময় বাটালুর নেতৃত্বে তার লোকজন ধাওয়া করে। রাশেদ মোটরসাইকেল ফেলে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানেই পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে এলাকাবাসী তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাকুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান বাটালু, আরেক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাকুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী হাসান নারুন এবং অপর গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন বগুড়া শহর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি মাজেদুর রহমান জুয়েল। এই বিভক্তি থেকে গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান জুয়েল ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল নিয়ে পাকুল্লা বাজারে মহড়া দেয়। সেই দিন আব্দুল হান্নান দাবি করেছিলেন মাজেদুর রহমান জুয়েল তার বাড়িতে আক্রমণ করতে যায়। সেই মোটরসাইকেল বহরে যুবদল নেতা রাশেদুল ছিল। মাজেদুর রহমান জুয়েল ফিরে যাওয়ার পর কে বা কারা রাশেদুলের উপর হামলা করে।

জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান জুয়েল বলেন, আমি গ্রামের বাড়িতে যাই, সেখানে মসজিদে জুমার নামাজে ইমামতি করি। পরে একটি বিয়ের দাওয়াত খেয়ে ফিরে আসি। বাটালুর বাড়িতে আক্রমণ করতে যাওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলাদুন্নবি বলেন, পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই জের ধরেই রাশেদুল নামের একজনকে মারধর করা হয়। শুক্রবার রাশেদুল মারা গেলে তার পক্ষের লোকজন বাটালু ও তার লোকজনের ৪-৫টি বাড়ি ভাঙচুর করে। এর আগেই বাটালু ও তার লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। রাশেদুল মারা যাওয়ার খবরে পাকুল্লা বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ওসি বলেন, রাশেদুলের উপর হামলার ঘটনায় থানায় কেউ মামলা করেনি।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন