মাগুরায় মোবাইলের একাউন্ট হ্যাক করে ফ্রি ফায়ার গেম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে বন্ধুদের ছুরিকাঘাতে খুন হলো কাজী গোলাম রসুল (১৫) নামের এক স্কুলছাত্র।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাতে মাগুরা সদর উপজেলার বেরইলপলিতা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় এলাকায় ছুরিকাঘাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়।
নিহত কাজী গোলাম রসুল বেরইলপলিতা গ্রামের কাজী রওনক হোসেনের ছেলে। সে গঙ্গারামপুর কালীপ্রসন্ন কারিগরি বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো।
এ ঘটনায় বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে নিহতের বাবা কাজী রওনক হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় বেরইলপলিতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোন্দকার মহব্ব আলী জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বেরইলপলিতা দক্ষিণপাড়া এলাকার রাস্তা দিয়ে গোলাম রসুল নিজ বাড়ির দিকে আসছিল। এসময় হত্যাকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রসুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় বাজারে চা বিক্রেতা কাজী রওনক হোসেনের দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে রসুল ছিলো সবার ছোট।
নিহতের বোন লিপি পারভীন অভিযোগ করে বলেন, একই এলাকার শহিদুল মিয়ার ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র সজীব মিয়ার সাথে এক সপ্তাহ আগে গোলাম রসুলের মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর থেকেই রসুলকে সজীব নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই জের ধরে তাকে খুন করা হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এনামুল কবির জানান, হাসপাতালে আনার আগেই গোলাম রসুলের মৃত্যু হয়। বুকের মাঝে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নুল আবেদীন জানান, অনলাইনে ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেম খেলা নিয়ে বন্ধুদের সাথে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানাগেছে। এ বিষয়ে বুধবার সকালে নিহতের বাবা কাজী রওনক হোসেন সজীবসহ ৬ জনের নামে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।