নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিতে ‘হা হা ইমোজি’ দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা, ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় ৫০টি দোকান ও ১২টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
রোববার (১৫ মে) রাত থেকে মঙ্গলবার (১৭ মে) পর্যন্ত চরকাঁকড়া ইউনিয়নের রাস্তার মাথা এলাকায় এ হামলা করা হয়। বুধবার (১৮ মে) ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মেহেদী হাসান হৃদয় (১৮) ও রমজান আলী রিয়াদ (১৮) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। হৃদয় বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল হুদার ছেলে এবং রিয়াদ একই এলাকার আজিজুল হকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার (১৫ মে) মেহেদী হাসান হৃদয়ের ফেসবুক পোস্টে ‘হা হা’ ইমোজি দেন শুভ নামের একজন। বিষয়টির ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে পেশকারহাট রাস্তার মাথার ৫০টি দোকান, ছয়টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৭ মে) বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। পরে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পেশকারহাট রাস্তার মাথার বাজার কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বাহাদুর।
খবর পেয়ে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আকরামুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি সিসি টিভির ফুটেজ দেখে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে বাজার কমিটির পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।