হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে একজনের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে রাহিম মিয়া (২০) নামে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের ইসবপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলুর লোকজনের সঙ্গে একই এলাকার আওলাদ মিয়ার লোকজনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল।
শনিবার সন্ধ্যায় আওলাদ মিয়ার স্বজন জলসুখার বনহাটীর বাসিন্দা সাগর মিয়া ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। ফয়েজ আহমেদ খেলুর স্বজন ইসবপুর গ্রামের বাসিন্দা আকাশ মিয়া তাকে সেই পোস্টের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। রাতে বিষয়টি জানার পর আকাশের পরিবারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন আওলাদ মিয়ার ছেলে সাবেক পুলিশ সদস্য জনি মিয়া। এরই জেরে রোববার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকে বিরোধ ছিল। শনিবার বিকেলে ফেসবুকে একটি পোস্টের জেরে তাদের মধ্যে আবার ঝগড়া হয়। পরে আজ সকালে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।