ফেনীর সোনাগাজীতে এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন মামলায় মতিগঞ্জ আর এম হাট কে উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নূর নবীকে (৪০) গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর অভিযোগেরভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে আমিরাবাদ ইউনিয়নের চরডুব্বা গ্রামের বকু হাজী বাড়ির মৃত এনামুল হকের ছেলে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৪ জুলাই) সকাল ৭টায় কয়েকজন ছাত্রী বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যান। সাড়ে ৮টার দিকে প্রাইভেট শেষে রেজিস্ট্রশন কার্ডের ছবি ও ভুল সংশোধনের কথা বলে নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে ডেকে নেন অফিস সহকারী নুর নবী। সেখানে এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করেন। পর দিন ২৫ জুলাই সোমবার ভয়ে ওই ছাত্রী বিদ্যালয় ও প্রাইভেট পড়তে যাননি। মঙ্গলবারও (২৬ জুলাই) বিদ্যালয়ে না যেতে চাইলে ওই ছাত্রীর মা জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় সে তার মাকে বিষয়টি জানায়।
তাৎক্ষণিক ওই ছাত্রীকে নিয়ে তার স্বজনরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অপরাপর শিক্ষকদের জানালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের কার্যালয়ে ডেকে বৈঠক করেন। পরে অন্যান্য শিক্ষার্থীর বক্তব্য শুনে আইনগত সহায়তা পেতে থানায় মামলা করতে বলেন। পরে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নূর নবীকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ তাকে বিদ্যালয় থেকে গ্রেফতার করে।
মতিগঞ্জ আর এম হাট কে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, অফিস সহকারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ছাত্রীর মায়ের মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মঞ্জুরুল হক বিয়ষটি নিশ্চিত করে বলেন, অফিস সহকারীকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্ত করেছে। ওই ছাত্রীর মায়ের মামলায় অফিস সহকারীকে গ্রেফতার করেছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মককর্তা (ওসি) মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।