রাজবাড়ীতে নিজাম হায়দার নামের এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। প্রবাসীর স্ত্রীকে ‘ফুঁসলিয়ে’ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে করা মামলায় রাজবাড়ীর ২ নম্বর আমলি আদালত এ পরোয়ানা জারি করেছে। একই সঙ্গে ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধেও সমন জারি করেছেন আদালত।
আজ রবিবার দুপুরে প্রবাসী মোক্তার বিশ্বাস বাদী হয়ে রাজবাড়ীর ২ নম্বর আমলি আদালত ও রাজবাড়ীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্ত আইনজীবীর বিরুদ্ধে দু’টি মামলা করেন। মামলার বাদী মোক্তার পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের মালঞ্চী গ্রামের বাসিন্দা ও অভিযুক্ত আইনজীবীর প্রতিবেশী। অভিযুক্ত আইনজীবী নিজাম হায়দার রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরটা ইউনিয়নের মালঞ্চী গ্রামের বাসিন্দা। মামলায় নিজাম হায়দারকে ১ নম্বর এবং ওই নারীকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত আইনজীবী নিজাম হায়দারের।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে ছিলেন মোক্তার বিশ্বাস। পাঁচ মাস আগে দেশে ফিরে তিনি তার টাকা-পয়সা স্ত্রীর কাছে গচ্ছিত রাখেন। এরপর তিনি আবার সৌদি চলে যান। তিনি প্রবাসে থাকার সুযোগে নিজাম হায়দার তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে শুক্রবার দুপুরে নিজাম হায়দার তার স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হন। যাওয়ার সময় তার স্ত্রীর কাছে গচ্ছিত নগদ চার লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ছয়-সাত ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যান।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, রাজবাড়ীর ২ নম্বর আমলি আদালতে করা মামলায় ১ নম্বর আসামি নিজাম হায়দারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং ২ নম্বর আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত। রাজবাড়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা মামলায় আসামি নিজাম হায়দারের বিরুদ্ধে শোকজসহ ভিকটিমের বিরুদ্ধে সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করা করা হয়েছে।