প্রবাসীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মাজেদুল ইসলাম বাবু (২৬) নামে এক পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আটক করেছে উল্লাপাড়া থানা-পুলিশ। পরদিন শুক্রবার ভুক্তভোগী নারী উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
অভিযুক্ত মাজেদুল ইসলাম উল্লাপাড়া উপজেলার ভদ্রকোল গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি গুলশান-২ থানায় কর্মরত।
অভিযোগপত্রে জানা যায়, ১২ বছর আগে ভদ্রকোল গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে আমিনুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে প্রতিবেশী পুলিশ কনস্টেবল মাজেদুল ইসলাম খালেদাকে বিয়ে করার জন্য নানাভাবে প্রস্তাব ও প্রলোভন দেন। গড়ে ওঠে তাদের প্রেমের সম্পর্ক।
একপর্যায়ে স্বামী আমিনুল ইসলামকে তালাক দেন খালেদা। এরপর খালেদা তার বাবার বাড়ি চলে যান। মাজেদুল তালাকের পর থেকে ছুটিতে বাড়িতে এসে নিয়মিত খালেদার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেক বার ধর্ষণ করেন। এর মধ্যে কিছুদিন ঢাকা গাজীপুরে একটি বাসা ভাড়া করে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে নানা কৌশলে খালেদাকে বাসায় নিয়ে রাখেন। এরপরেও তিনি তাকে বিয়ে না করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
অবশেষে গত ২১ অক্টোবর রাতে মাজেদুল ভুক্তভোগীর বাবার বাড়িতে গিয়ে তাকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে। মাজেদুল ঘর থেকে বের হওয়ার সময় তিনি মাজেদুলের মনোভাব বুঝে চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন তাকে আটক করে। পরে উল্লাপাড়া থানা-পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। থানায় দেওয়া অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, পুলিশ কনস্টেবল মাজেদুলকে থানায় আটক করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার প্রমাণ হলে তিনি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে মাজেদুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর তালাকপ্রাপ্ত প্রবাসী স্বামী জানান, তাদের ১২ বছরের সংসার ছিল। তিনি বিদেশে চাকরি করতেন। এই সময়ে অনেক অর্থ ও স্বর্ণ খালেদা হাতিয়ে নিয়ে তাকে তালাক দিয়ে চলে গেছে। তিনি সাবেক স্ত্রী এই নারীর বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে আদালতে প্রতারণার মামলা করবেন।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন