কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখেছিলেন যে ব্যক্তি তাকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্ত ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন। তিনি কুমিল্লা নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের দ্বিতীয় মুরাদপুর-লস্করপুকুর নুর আহম্মদ আলমের ছেলে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আজ বুধবার রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি। এতে দেখা যাচ্ছে এক যুবক মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ নিয়ে রাস্তার দিকে আসে। কিছুক্ষণ পর দেখলাম তার হাতে কোরআন শরিফ নেই। হনুমান ঠাকুরের গদা হাতে নিয়ে তিনি ঘোরাঘুরি করছেন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা এ ঘটনার মূল সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছি। তাকে গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। আশা করি শিগগিরই নাটকীয় অগ্রগতি পাওয়া যাবে।
পুলিশের আরেক কর্মকর্তা জানান, শনাক্ত ইকবাল হোসেন কোথা থেকে ওই কোরআন শরীফটি সংগ্রহ করেন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাও বের করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, রাত আড়াইটা থেকে ভোর সাড়ে ৬টার মধ্যে কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা হয়। সে সময়ই সরিয়ে নেওয়া হয় হনুমানের হাতে থাকা গদা। গদা নিয়ে চলে যাওয়ার একটি সিসিটিভি ফুজে সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
ফুটেজে দেখা গেছে, রাত দুইটা ১০ মিনিটে দারোগাবাড়ির মসজিদ থেকে কিছু একটা হাতে নিয়ে বের হচ্ছেন এক যুবক। তার গতিবিধি সন্দেহজনক। এর এক ঘণ্টা ২ মিনিট পর আরেকটা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কুমিল্লার নানুয়াদীঘি অস্থায়ী মণ্ডপের উত্তর-পূর্বদিকের রাস্তায় ঘোরাফেরা করছেন ওই ব্যক্তি। তার কাঁধে ছিল হনুমানের হাতে থাকা গদা।
গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়া দিঘিরপাড় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা নিয়ে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘটনায় বিভিন্ন থানায় আট মামলায় ৭৯১ জনকে আসামি করা হয়ে।