পালিয়ে গিয়েও বাঁচতে পারেনি সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলার অন্যতম আসামী অর্জুন লস্কর (২৫)। আজ রবিবার তিনি পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে আজ ভোর ৬টায় প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে (২৮) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত হয়ে ভারতে পালানোর সময় গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে ধর্ষণের ঘটনার পর পালিয়ে জকিগঞ্জে নিজের বাড়িতে যান অর্জুন। পরের দিন বিকালে জকিগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন। সেখান থেকে নিজের বাড়িতে থাকা এক আত্মীয়ের সঙ্গে তিনি ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছিলেন। প্রযুক্তির মাধ্যমে এই তথ্য পেয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। সেই অনুযায়ী আজ রবিবার সকালে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মাধবপুরের মনতলা এলাকায় পৌঁছায়।
এরপর আবারও সহায় হয় প্রযুক্তি। গোয়েন্দারা প্রযুক্তির মাধ্যমেই অর্জুনের অবস্থান নিশ্চিত হয়। অবশেষে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মনতলা গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে অর্জুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে সিলেট এনে সিলেট মহানগর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে ধরা পড়া সাইফুর দাঁড়ি কেটে চেহারা পাল্টে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিল। তবে পুলিশের চোখে সে ধুলো দিতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন নববিবাহিত এক দম্পতি। রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে স্বামী গিয়েছিলেন সিগারেট কিনতে। ফিরে এসে দেখেন কিছু যুবক তার স্ত্রীকে উত্যক্ত করছে। তিনি প্রতিবাদ করলে দুজনকেই ধরে ছাত্রাবাসের ভেতর নিয়ে যায় যুবকেরা। স্বামীকে মারধর করে বেঁধে রাখে এবং তরুণীকে ছাত্রাবাসের ৭ নম্বর ব্লকের একটি কক্ষের সামনে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ঘণ্টাখানেক পর স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। ওই তরুণী এখন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন