ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত। যাত্রী বেশী ৫ সদস্যের ডাকাত দল গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাটে ডাকাতদল গাড়ি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রংপুরের শটিবাড়ী পর্যন্ত ডাকাতি করে শটিবাড়ীরনপাম্প থেকে বাস ঘুরিয়ে নিয়ে সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট টু পলাশবাড়ীর মাঝামাঝি রংপুরের পীরগঞ্জ থানার কাবিলপুর ইউনিয়নের চম্পাগঞ্জের চকশোলাগাড়ী নামকস্থানে জাতীয় মহাসড়কে গাড়ি রেখে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
উক্ত পরিবহনের হেলপার জানায়,গত ৩১ আগষ্ট সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ৩০ জন যাত্রী নিয়ে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে হানিফ পরিবহন। ডাকাতরা সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাটে পীরগঞ্জের সীমানায় এসে রাত্রি আনুমানিক ২.৩০ ঘটিকায় বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য প্রথমে ড্রাইভারকে আঘাত করলে ড্রাইভার রাস্তার মাঝে গাড়ী ঘুরিয়ে নেওয়া চেষ্টা করলে তারা আবারও সজোরে ড্রাইভারের কাঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।এর পর ডাকাতদল ডাকাতি করতে করতে সটিবাড়ী পর্যন্ত চলে আসে। সেখান থেকে পাম্পে বাস ঘুরিয়ে ঘন্টা ব্যাপী ডাকাতি শেষে পলাশবাড়ী দিকে রওনা দিয়ে জাতীয় মহাসড়কের পীরগঞ্জের চম্পাগঞ্জ হাইস্কুলের সামনে চকশোলাগাড়ী মৌজায় রাত্রি তিনটার দিকে যাত্রী সহ হানিফ পরিবহন রেখে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে আমরা আহত ড্রাইভার কে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই ঘন্টা ব্যাপী রক্তক্ষরণে ফলে ওস্তাদ কে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করে। লাশ পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বর্তমানে পীরগঞ্জ থানায় নেওয়া হয়েছে। সুপারভাইজার তৈমুর(২৫) পিতা তরিকুল ইসলাম গ্রাম বড় ধাপ থানা আটোয়ারী পঞ্চগড়, হেলপার বুলবুল,পিতা মৃঃখাজামিয়া নুরপুর পলাশবাড়ী গাইবান্ধা।
আহত সুপারভাইজার ও হেলপার কে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জিজ্ঞেসা বাদের জন্য রংপুরের পীরগঞ্জ থানার নেয়া হয়েছে। এছাড়া ডাকাতি হওয়া হানিফ পরিবহনে বাসটি থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সরেস চন্দ্র বলেন,ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখ জনক।ড্রাইভারের লাশ, সুপারভাইজার, হেলপার বাস থানায় আছে। ড্রাইভারের নাম মন্জু ঢাকা মিরপুর জানা গেলেও পুরা পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।