পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত নাঈম শরীফ ও তার বড়ভাই মহারাজ শরীফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে ওই কিশোরী পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়ার বলেশ্বর নদী তীরের হরিণপালা ইকো পার্ক ঘুরে বাড়ি ফেরার পথে সংঘবদ্ধ বখাটে কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়। গ্রেপ্তারকৃত বখাটে সহোদর উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের হানিফ শরীফের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ধর্ষিতা মাদরাসাছাত্রী ও ধর্ষক মো. নাঈম শরীফ সম্পর্কে খালাতো ভাইবোন। নাঈম শরীফ এর আগে বিভিন্ন সময় ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। এ বিষয়ে ওই মাদরাসাছাত্রীর বাবা ধর্ষক নাঈমের বড় ভাই মহারাজ ও তার মা তহমিনাকে জানায়। তারা নাঈমকে সর্তক না করে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তবে এতে রাজি হয়নি মেয়ের পরিবার।
গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই মাদরাসাছাত্রী পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলায় ইকো পার্কে ঘুরতে যায়। পরে সন্ধ্যায় পার্ক থেকে বাড়ি ফিরে আসার পথে স্থানীয় ফুলঝুড়ি বাজার সড়ক থেকে তুলে নিয়ে একটি পরিত্যক্ত ঘরে আটকে রেখে ওই ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। বাড়িতে ফিরে বিষয়টি ওই ছাত্রী তার মা ও তার বড় ভাইকে জানায়। তারা বখাটের পরিবারের কাছে জানালে বিচারের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষককে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা মাদরাসাছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গত বুধবার মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মঠবাড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল হক জানান, অভিযুক্ত নাঈম ও তার ভাই মহারাজকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার ওই মাদরাসাছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন