বরগুনার আমতলীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জেরকে কেন্দ্র করে চাওড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মো. নয়ন মাতুব্বরকে ডেকে নিয়ে মাথায় কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক জুয়েল মাতুব্বর ও তার সহযোগীরা।
গুরুতর আহত নয়নকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার রাতে আমতলী পৌর শহরের হাসপাতাল সংলগ্ন ওয়ালটন শোরুমের পাশে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
আহত সূত্রে জানা গেছে, গত বছর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে চাওড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আখতারুজ্জামান খান বাদলের সমর্থক ও ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সাবেক সহ-সম্পাদক মো. নয়ন মাতুব্বরের সাথে প্রতিপক্ষ অপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাড. মো. মহসিন মিয়ার সমর্থক জুয়েল মাতুব্বরের সাথে নির্বাচনের সময় কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার জের ধরে রবিবার রাতে নয়ন তার স্ত্রীকে নিয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখান থেকে আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি তাকে ডেকে হাসপাতাল সংলগ্ন ওয়াল্টন শোরুমের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মহসিনের সমর্থক জুয়েল মাতুব্বর, ছালাম মাতুব্বর, বায়েজিদ মাতুব্বর, ইমরান ও নুরু হাওলাদারসহ ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার বাম পা ভেঙে দেন এবং রামদা দিয়ে এলোপাতাতি কুপিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
আহত নয়ন মাতুব্বরের চিৎকারে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন বিশ্বাস আহত নয়ন মাতুব্বরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহত নয়নের ভগ্নিপতি সোহেল হাওলাদার বলেন, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নয়নকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে জুয়েল মাতুব্বর, ছালাম মাতুব্বর, বায়েজিদ মাতুব্বর, ইমরান. আব্দুল্লাহ ও নুরু হাওলাদারসহ ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বাম পা ভেঙে দিয়েছে এবং রামদা দিয়ে কুপিয়ে মাথায় গুরুতর জখম করেছে।
অভিযুক্ত ইমরান ও জুয়েল মাতুব্বরের সাথে তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই ফোনের সংযোগটি কেটে দেন। এরপর বারবার চেষ্টা করলেও তারা আর ফোন রিসিফ করেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুমন বিশ্বাস বলেন, রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার পা ও মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখমের চিহ্ন রয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ঘটনা জেনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।