রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে জাল নোট তৈরি চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় এক কোটি ২০ লাখ টাকার জাল নোট, পাঁচটি মোবাইল ফোন, দুইটি ল্যাপটপসহ জাল নোট তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাবাসাবাদে তারা এ সংশ্লিষ্ট নানা তথ্য দিয়েছেন।
সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। নারীসহ গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, বরগুনার মো. আব্দুস সালামের ছেলে ও চক্রের মূলহোতা মো. ছগির হোসেন (৪৭), বরিশালের মো. মান্নান হাওলাদারের মেয়ে মোছা. সেলিনা আক্তার পাখি (২০) ও ঝালকাঠীর মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মো. রুহুল আমিন (৩৩)।
গত ২৮ নভেম্বর র্যাব-৪ এর একটি দল রাজধানীর মিরপুরে অভিযান পরিচালনা করে ২৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকার জাল নোট জব্দ করে। এসময় চক্রটির চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে চক্রটির মূলহোতা ও অন্যান্য সহযোগীদের সম্পর্কে জানা যায়। এরপরই সোমবার রাতে অভিযানে নামে র্যাব।
মঙ্গলবার কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পল্লবীতে জাল নোট তৈরি করে ঢাকা, বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন লোকদের কাছে স্বল্প মূল্যে পৌঁছে দেওয়া হত।
গ্রেপ্তার সেলিনার স্বামীও জাল নোট তৈরি চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। সেলিনা ঢাকার কামরাঙ্গীর চরে একটি বিউটি পার্লারে বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন। স্বামীর মাধ্যমে এ চক্রের মূলহোতা ছগিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং তিনি নিজেও এ চক্রে জড়িয়ে জাল নোট ব্যবসা শুরু করেন।
এছাড়া গ্রেপ্তার রুহুল আমিন মূলত এ চক্রের মূলহোতা ছগিরের অন্যতম সহযোগী। রুহুলের মাধ্যমে অন্যান্য সহযোগীদের পরিচয় হয় ছগিরের।
তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজুর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন এবং এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে র্যাব।