খুলনা মহানগরীর কেডিএ এভিনিউ এলাকার একটি বাসা থেকে স্বপ্না খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর বাক্সবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় লাশের শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একটি পলিথিনে খাটের ওপর মোড়ানো ছিল। এদিকে ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামীর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
নিহত স্বপ্না খাতুনের স্বামীর নাম আবু বকর মোল্লা (২৫)। তিনি নগরীর স্টেশন রোড এলাকার আল আকসা নামে একটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির ম্যানেজার পদে চাকরি করেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার সোনালী সেন জানান, আবু বকর একটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানিতে চাকরি করেন। রোববার (৬ নভেম্বর) সকালে তিনি কর্মস্থলে না যাওয়ায় ও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় সহকর্মীরা তাকে খুঁজতে বাসায় যান। বাসাটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখার এক পার্যায়ে তারা জানালা দিয়ে বিছানায় একটি বাক্স ও আশপাশ রক্ত দেখে পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশের পর পলিথিনের মোড়ানো মাথা ও একটি বাক্সের ভেতর থেকে স্বপ্না খাতুনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় সেখান থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন গোবরচাকা কেডিএ এভিনিউয়ের ১১৩ হোল্ডিংয়ের রাজু খাঁর বাড়িতে স্ত্রী স্বপ্না খাতুনকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন আবু বকর। স্বপ্না খাতুন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ভাগা গ্রামের আইয়ুব আলী সরদারের মেয়ে। আর আবু বকর মোল্লা একই গ্রামের জাকির মোল্লার ছেলে। দুই থেকে আড়াই বছর আগে আবু বকর সোনাডাঙ্গা থানাধীন ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠেন এবং নগরীর ৫ নম্বর ঘাট এলাকার আল আকসা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিতে ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশের ধারণা, হত্যার পর শরীর থেকে মাথাটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। রোববার (৬নভেম্বর) ভোরে অথবা শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। এরপর থেকেই আবু বকর পলাতক রয়েছেন। তবে কী কারণে ওই গৃহবধূ খুন হয়েছেন প্রাথমিকমভাবে পুলিশ তা জানাতে পারেনি।
বাড়ির মালিক রাজু খাঁ বলেন, ‘আবু বকর যে ট্রান্সপোর্ট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক রোববার সকালে তাকে খুঁজতে বাসায় আসেন। এরপরই মূলত ডাকাডাকি করতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানা যায়।’