চিত্রনায়িকা পরীমনির সহকর্মী কস্টিউম জিজাইনার জুনায়েদ করিম জিমিকে গুলশান থেকে আটক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার তাকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
জুন মাসে ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনার সময় এ চিত্রনায়িকার সফর সঙ্গী ছিলেন কস্টিউম জিজাইনার জুনায়েদ করিম জিমি। তখনই গণমাধ্যমে তার নাম আলোচনায় আসে। ওই সময়ে পরীমনির বনানীর বাসায় সংবাদ সম্মেলনের সময়ও জিমিকে উপস্থিত রাখা হয়। পরে তিনিও গণমাধ্যমে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। এ ছাড়া পরীমনির সঙ্গে বিভিন্ন ক্লাবে সফর সঙ্গী হিসেবে থাকতেন এই জিমি।
এর আগে গত বুধবার রাতে বাসা থেকে আটকের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরীমনিকে পুলিশে হস্তান্তর করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় করা হয় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা। এরপর রাতেই পরীমনিকে ঢাকার আদালতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। তাকে সাত দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা।
শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশিদ চার দিন রিমান্ডের আদেশ দেন। অর্থাৎ পুলিশ এই কয়দিন এই চিত্রনায়িকাকে তাদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। পরীমনির পক্ষে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন জানালেও তা নাকচ করে দেন বিচারক। পরীমনির সঙ্গে মামলার আসামি তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ এবং তার ব্যবস্থাপক সবুজ আলীকেও র্যাবের করা আলাদা মাদক মামলায় হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। তাদেরও চার দিন রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ। ওই মামলাটিও তদন্ত করছেন পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা।