চুয়াডাঙ্গার দামুডহুদায় স্বামীকে খাবার স্যালাইনের সাথে ঘুমের ট্যাবলেট ও বিষ মিশিয়ে পান করিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে স্ত্রীকে পুলিশ শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টায় আটক করেছে।
জানা যায়, ৯ মাস আগে জীবননগর উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের কাকলী খাতুনের সঙ্গে সাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মাসুদ রানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে একই গ্রামের মুকুল আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা ও চ্যাটিং করত কাকলী। চার দিন আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক টের পেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়।
এরপর শুক্রবার দুপুরে বাড়ি ফেরার পর কাকলী তাকে স্যালাইন খেতে দেয়। স্যালাইন খেয়েই মাসুদ ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর তার বেশ কয়েকবার বমি হয়।
এ বিষয়ে স্বামী মাসুদ জানান, কাকলী ওড়না দিয়ে তার গলা পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়ার চেষ্টা করলে তিনি তাকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পেছন থেকে তার মাথায় ইট দিয়ে বাড়ি দেন কাকলী। মাসুদের চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান জানান, শুক্রবার দুপুরে মাসুদ বিষপান করেছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানান। হাসপাতালে আনার পর তাকে ওয়াশ করা হয়। তিনি এখনও আশঙ্কামুক্ত নন। সাত দিন তাকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
এ ঘটনায় মাসুদের মা মমতাজ খাতুন শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে দর্শনা থানায় কাকলী ও মুকুলের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, মামলার পর কাকলীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বামীকে ঘুমের ওষুধ ও কীটনাশক খাইয়ে মেরে ফেলা চেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন। মুকুল তাকে দুদিন আগে ঘুমের ওষুধ এনে দিয়েছিলেন। আজ শনিবার কাকলীকে আদালতে তোলা হবে। মামলার আরেক আসামি মুকুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।