নোয়াখালীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে আসার পথে একটি মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দলটির ১৭৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এরমধ্যে ২৬ জন এজাহার নামীয় এবং বাকি ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (২ মার্চ) দিবাগত রাতে হামলার ঘটনায় আহত সুধারাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাফফর আলী বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খানকে বুধবার রাত তিনটার দিকে শহরের কলেজ পাড়া এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে সুধারাম থানার পুলিশ।
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকালে তিনি জানান, বুধবার বিকেলে বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়া হয়। এতে পুলিশের একজন এসআইসহ তিনজন পুলিশ ইটের আঘাতে আহত হন। এ ঘটনায় দিবাগত রাতে সুধারাম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি জেলা যুবদলের নেতা নুরুল আমিন খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।
জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জানান, বুধবার বিএনপি’র নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করেনি, বরং পুলিশই বিনা কারণে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দিয়েছে এবং নেতাকর্মীদেরকে ধাওয়া ও লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করেছে। এতে দলের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। কিন্তু বিএনপিকে কোণঠাসা করার জন্য পুলিশ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাজানো মামলা দায়ের করেছে, যা খুবই নিন্দনীয়।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে নোয়াখালী প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সমাবেশে আসার পথে একটি মিছিল জেলা সার্কিট হাউজ সড়কের এলাকা অতিক্রমকালে মিছিলটিকে বাধা দেয় সুধারাম থানা পুলিশের একটি দল।
এ সময় মিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছেন।