নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় সমাবেশে যোগ দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপির ২৮জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় পৌর শহরের অন্তত ছয়টি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে কলেজ রোড এলাকায় বিএনপির সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন। এ সময় পৌর শহরের বাস স্টেশন এলাকা, সাজিউড়া মোড়, চিরাং বাজার রোড, সাউথপাড়া মোড়সহ অন্তত ছয়টি স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতাদের দাবি, কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র মো. আসাদুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় সান্দিকোনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রনি খান, কৃষক দলের যুগ্ম-সম্পাদক আনিসুর রহমান, যুবদল নেতা আরাফাত হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, রাজিব মিয়া, হাবুল মিয়া, হিরণ মিয়া, আশুজিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শামীম মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সুনা মিয়া, শ্রমিক দলের নেতা আল আমিন, মানিক মিয়াসহ প্রায় ২৮ জন আহত হন। তাদের মধ্যে নজরুল ইসলামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যরা কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদীর ভূঁইয়ার মুঠোফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী হোসেন বলেন, এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে কলমাকান্দায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা হয়। সকালে খারনৈ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করেন। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও খারনৈ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুল হকসহ ৬৫ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।