English

22 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

নীলের বদলে সবুজ মোবাইল পেয়ে, রেগে গিয়ে দোকানির নামে ধর্ষণ মামলা করলেন নারী! অত:পর…

- Advertisements -

কখনো কখনো রাগে ক্ষোভেও মানুষ ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করে থাকেন, তারই প্রমাণ দিলেন এক নারী। দোকানি নীলের বদলে সবুজ মোবাইল দিয়েছেন, তাই ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি (মৃত্যুদণ্ড) দিতে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করত পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
‘ব্লুর জায়গায় গ্রিন এবং ধর্ষণ’ শিরোনামে এই ঘটনাটি ফেসবুক এক পোস্টে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের এসি শেখ মোহাম্মদ শামীম।
পাঠকদের জন্য এই পুলিশ কর্মকর্তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘আজ সন্ধ্যায় হন্তদন্ত হয়ে একজন মহিলা এলেন শাহবাগ থানায়,বললেন যে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, সাথে সাথে অফিসার ইনচার্জ আমাকে জানালে দ্রুত থানায় যাই।
সাথে সাথে মহিলাকে সাথে নিয়েই একটা টিম পাঠাই মোতালেব প্লাজায় ধর্ষককে ধরার জন্য, কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই ধর্ষককে।
মহিলার অভিযোগ ছিল যে তিনি মোবাইল কিনতে মোতালেব প্লাজায় গিয়েছিলেন, উনি ব্লু কালারের মোবাইল চেয়েছিলেন কিন্তু দোকানদার তাকে গ্রিন কালারের মোবাইল দিয়েছেন।
রাস্তা থেকে মহিলা প্যাকেট খুলে বিরক্ত হয়ে দোকানদারকে ফোন করেন এটা পরিবর্তন করে ব্লু কালার দেওয়ার জন্য,তখন দোকানদার কৌশলে তাকে (মহিলাকে) তার বাসায় নিয়ে যান, মোবাইলের গুদামে নিয়ে যাচ্ছে বলে। সেখানে নিয়ে মোবাইল পরিবর্তন করার কথা বলে, ওখানেই নির্জন পরিবেশে জোর করে মহিলাকে ধর্ষণ করেন দোকানি।
একজন বিবাহিত মহিলা সাভার থেকে ঢাকায় মোবাইল কিনতে এসে হারালেন তার ইজ্জত। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার জন্য মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
পরবর্তীতে কথা বললাম দোকানির (ধর্ষক) সাথে এ বিষয়ে,মহিলার সাথে কথোপকথনের মোবাইল রেকর্ডিং শুনলাম তার মোবাইল থেকে,মোতালেব প্লাজার সিসি ক্যামেরা চেক করলাম,মহিলা একটা হোটেলে বসেছিল সেই হোটেল কর্তৃপক্ষর সাথে, দুঃখের বিষয় হচ্ছে সব শুনে এবং চেক করে মহিলার অভিযোগ মিথ্যা মনে হতে লাগলো।
মহিলার লোকেশন,টাইমিং,ফোনকল,রেকর্ডিং কোনো কিছুই মিলছে না। তখন মহিলাকে সব কিছু দেখিয়ে বললাম,আপা আপনি যেভাবে বলছেন সেভাবে তো মিলছে না কোনো কিছুই,আপনি নিজেই দেখেন।
আর বললাম যে আমরা আপনার মেডিকেল টেস্ট করাবো আসলেই আপনি ধর্ষিত কিনা।
মুহূর্তের মধ্যে মহিলা বললো, স্যার আমাকে মাফ করে দেন,আমি মিথ্যা বলেছি,আমাকে কেউ কোনো প্রকার ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টা করেনি। বললাম তাহলে কেন মামলা দিতে এসেছেন,তখন উনি বললেন শখ করে ১৪,৫০০/ টাকা দিয়ে মোবাইল কিনেছি,সাভার থেকে কষ্ট করে এসেছি। আমাকে ব্লু কালারের কথা বলে গ্রিন কালার কেন দিলো,এতে আমার প্রচণ্ড রাগ হয়েছে। পরে উনাকে ফোন দিয়ে পরিবর্তনের কথা বললে দোকানি আমাকে এটাই ভালো মোবাইল বলে ফোন রেখে দিয়েছেন,তখন মেজাজ আরও খারাপ হয়েছে,কোনো দিকে না তাকিয়ে সোজা থানায় এসেছি মামলা
দিতে,যেহেতু ধর্ষণের শাস্তি বেশি তাই মিথ্যা মিথ্যা গল্প বানিয়ে ধর্ষণের কথা বলেছি।
দোকানির অপরাধ ব্লুর জায়গায় গ্রিন দেওয়া আর হয়ে গেলেন ধর্ষক। এরকম সুযোগ দয়া করে কেউ নিয়ে মায়ের জাতির অপমান করার চেষ্টা করবেন না।
এস.এম. শামীম
এসি রমনা জোন,ডিএমপি।’

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন