বরিশালের টুঙ্গিবাড়িয়া এলাকায় রাস্তা খারাপের অজুহাতে নির্দিষ্ট সড়কে না গিয়ে নির্জন সড়কে নিয়ে অটোরিকশা যাত্রী এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৫) গণধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে অটোচালক ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত অটোচালক মো. নাঈম (১৮) এবং তার বন্ধু মো. মামুনকে (১৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানায় একটি মামলা করেছেন।
শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের বিষারদ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে, উজিরপুরে গভীর রাতে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫) সাহেবের হাট থেকে অটোরিকশায় লাহারহাট যাচ্ছিল। অটোরিকশায় ওই একাই যাত্রী ছিল। পথিমধ্যে মূল রাস্তায় কাজ চলে অজুহাতে অটোচালক নাঈম একটি শাখা রাস্তা দিয়ে গন্তব্যের দিকে যেতে থাকে।
বিষারদ এলাকায় নির্জন সড়কের সিরাজ মাস্টারের বাড়ির বাগানের সামনে মূলসড়কে অটোরিকশার পর্দা ফেলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে চালক নাঈম। এরপর সে পালিয়ে যায়। পরে নাঈমের বন্ধু মামুন ওই ছাত্রীকে একই এলাকার করিম ডাক্তারের বাড়ির বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। স্থানীয়দের মাধ্যমে এ খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই ছাত্রীকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত নাঈম ও মামুনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই দিনই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান।
এদিকে জেলার উজিরপুর উপজেলার বাহেরঘাট গ্রামে এক এইচএসসি (১৯) পরীক্ষার্থী শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাসা থেকে বের হলে আগে থেকে ওঁৎপেতে থোকা বখাটে মিঠু মোল্লা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ওই ছাত্রীকে মারধর ও তার শ্লীলতাহানি করে সে। আহত ছাত্রীকে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন উজিরপুর থানার ওসি আলী আর্শাদ।