নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে গণপিটুনি দিয়েছে ধর্ষিতার পরিবার। এতে মো. রকি (২০) নামে এক ধর্ষক মারা গেছে। এ ঘটনায় বুধবার মো. শহিদুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম নামের দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৮ই মার্চ রাতে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের চিড়ইপাড়া কলোনির মৃত শাহাজ উদ্দিনের ছেলে মো. রকি ও তার চাচাতো ভাই শুকুর আলীর ছেলে আলমগীর একই এলাকার পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় রকি ও আলমগীরকে আসামি করে মামলা করা হয়।
মামলার পর রকি ও আলমগীর পালিয়ে গেলে তাদের অবস্থানের খবর পেয়ে বাদীর পরিবারের লোকজন মঙ্গলবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল থেকে তাদের ধরে বন্দরে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। এসময় পুলিশ আহত রকিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে বুধবার তার মৃত্যু হয়।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, বন্দর থানার একটি ধর্ষণ মামলার আসামি ছিল রকি। মঙ্গলবার রাতে মামলার বাদীর দুই ভাই রকিসহ দুইজনকে ধরে এলাকায় নিয়ে আসে। পরে তাদের মারধর করে গুরুতর আহত করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর রকি মারা যায়।