নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ভাড়া বাসায় সাবলেট থাকা দুই তরুণীকে খিচুড়ির সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে গার্মেন্টস কর্মী ওই দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় আজ রবিবার দুপুরে এক তরুণী বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর পুলিশ দেলোয়ার হোসেনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, দেলোয়ার হোসেন রংপুর জেলার কাউনিয়া থানার বলব বিশু গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে। ফতুল্লা থানার হাজীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের একটি ফ্ল্যাটে দেলোয়ার তার স্ত্রীকে নিয়ে এক রুমে ও দুই তরুণী আরেক রুমে সাবলেট থাকতেন। তাদের ফ্ল্যাটে রান্না ঘর একটি।
সাত দিন পূর্বে দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে ঝগড়া করে তার স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যায়। এরপর থেকে সে বাসায় একা থাকত। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তারা দুই তরুণী গার্মেন্টস থেকে কাজ শেষে বাসায় এসে ঘরে থাকা রান্না করা খিচুড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পরে। আর ওই খিচুরিতে আগে থেকেই দেলোয়ার নেশা দ্রব্য মিশিয়ে রাখে। এতে তরুণীরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পরে। এরপর দেলোয়ার তাদের দুজনকে পর্যায় ক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, ধর্ষক দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করে দুই তরুণীকে শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।