ভালোবেসে বিয়ে। অতঃপর হাতে দেয়া বিয়ের মেহেদির রং না মুছতেই মারিয়া আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মারিয়ার স্বজনদের অভিযোগ তাকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর ছোট কবরস্থানের শাহাদাতের ভাড়াটিয়া বাড়িতে। নিহত মারিয়া স্বামী রিফাত ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে ওই বাড়িতে থাকতেন।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান জানান, ধারণা করা হচ্ছে মারিয়াকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্বামী রিফাতকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। শাশুড়ি ও দেবরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
মারিয়া আক্তারের মা রহিমা আক্তার জানায়, তার মেয়ে মারিয়া আক্তার রিফাতের সাথে প্রেম করে চার মাস পূর্বে বিয়ে করেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তারা ওই বিয়ে মেনে নিয়ে পারিবারিকভাবে অনুষ্ঠান করে মেয়েকে তুলে দেয়া হয়।
বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে তার মেয়ের উপর নির্যাতন করতেন স্বামী রিফাত। এমন কী মেয়েকে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়া হতো না। তারা মাসদাইরের ভাড়া বাসায় মেয়েকে দেখতে এলেও তাদের সাথে মেয়েকে দেখা করতে দিতেন না। প্রতিদিনই মেয়ের উপর নির্যাতন করতেন।
শুক্রবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে তার মেয়ের শ্বশুড় বাড়ি থেকে তাকে ফোন করে জানানো হয় যে তার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছে। পরে তারা এখানে এসে জানতে পারে যে তার মেয়ে মারা গেছে।