নওগাঁর ধামইরহাটে স্ত্রীর পরকীয়া ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে নিরুপায় স্বামী আদালতের মাধ্যমে তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। এই খবর পেয়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী তার লোকজন নিয়ে ভুক্তভোগী স্বামীর বাড়িতে দুই দফায় ভাঙচুর করেছেন। এতে তালাক দেওয়া ওই স্বামীর লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়ন বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ধামইরহাট থানায় ভুক্তভোগীর করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উত্তর কাশিপুর গ্রামের মো. ইউনুছ আলী (৪৮) একই ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আবদুস সামাদের মেয়ে সুফিয়া বেগমকে ১০ বছর আগে বিয়ে করেন। তাদের সংসার জীবনে দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। সুফিয়া এরই মাঝে পরকীয়ায় লিপ্ত হন। এ বিষয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিস হয়। সন্তানদের কথা ভেবে সুফিয়াকে তালাক দেননি ইউনুছ আলী। কিন্তু একাধিকবারে পরকীয়ায় লিপ্ত হওয়ায়, নিরুপায় হয়ে গত বৃহস্পতিবার সুফিয়া বেগমকে আদালতের মাধ্যমে তালাক প্রদান করেন ইউনুছ আলী।
তালাকের খবর পেয়ে গত শুক্রবার সকালে ইউনুছ আলীর বাড়িতে এসে সাবেক স্ত্রী সুফিয়া বেগম হামলা চালান। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টায় দ্বিতীয় দফায় হামলা চালিয়ে নির্মাণাধীন ঘরের প্রাচীর ভাঙচুর করে নির্মাণ সামগ্রী তছনছ করেন সুফিয়া। এতে ইউনুছ আলীর লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
ইউনুছ আলীর বাড়িতে হামলার কথা স্বীকার করে সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমি নিজ ইচ্ছায বাবার বাড়িতে বসবাস করছি। আমি কোনো তালাকের কাগজ হাতে পাইনি। আমার দুই মেয়ে সন্তানকে আমার স্বামী জমি দিয়ে তা বিক্রির পাঁয়তারা করায় আমি নিজেই বাড়ি ভাঙচুর করেছি।’