দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় ধর্ষণের পর সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর ফাঁসিতে ঝুলয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকালে এ ঘটনায় বিরল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে শিশুটির বাবা। এরপরই অভিযান চালিয়ে একই এলাকার সোবহান আলীর ছেলে রাসেলকে (২২) গ্রেফতার করে থানায় নেয়া হয়।
বর্তমানে শিশুটি দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলে শুক্রবার রাতে জানান বিরল থানার ওসি মো. ফখরুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিরল উপজেলার ভান্ডারা ইউনিয়নে সাত বছরের এক শিশুকন্যাকে গত বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণের পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে ধর্ষক পালিয়ে যায়। এ সময় শিশুটির মা বাইরে থেকে গরু-ছাগল নিয়ে বাসায় ফিরলে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় শিশুকন্যাকে দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষণের পর শিশুকন্যাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে জানালে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে অবগত করে ভিকটিমের পরিবার। এ ব্যাপারে শুক্রবার বিকালে বিরল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে শিশুটির বাবা।
পাশবিক নির্যাতনের শিকার শিশুটি বর্তমানে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গলায় ফাঁস দিয়ে ঝোলানোর কারণে তার শ্বাসনালীতে চরম আঘাত পেয়েছে। বর্তমানে তার শ্বাস স্বাভাবিক করতেই আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা বলে জানায় হাসপাতাল সূত্র।
বিরল থানার ওসি মো. ফখরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বিরল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রাসেল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।