বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কুকুর অলি অভিযানে অংশ নিয়ে শনাক্ত করলো কোকেন, ধরা পড়লো আসামি। উত্তরার একটি আবাসিক হোটেলে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ডগ স্কোয়াড এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের যৌথ অভিযানে ২০০ গ্রাম কোকেনসহ এক তাঞ্জানিয়ান নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই বিদেশিকে অবৈধ মাদকসহ গ্রেফতার করা হয়।
বুধাবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দক্ষিণপূর্ব আফ্রিকান দেশ মালাউই’য়ের এক নাগরিককে ৮ কেজি ৩০০ গ্রাম কোকেনসহ গ্রেফতার করা হয়। মালাউই থেকে আসা যাত্রী যে হোটেলে ছিল একই হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে এপিবিএন এবং ডিএনসির যৌথ অভিযানিক দল।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ এবং ডিএনসির একটি যৌথ আভিযানিক দল উত্তরার হোটেল এফোর্ড ইন এ অভিযান চালায়।
এ সময় তাদের সঙ্গে এয়ারপোর্ট এপিবিএন এর ডগ স্কোয়াডও অংশ নেয়। হোটেলটির দোতলায় ১০২ নাম্বার রুমে ছিলেন তাঞ্জানিয়ার অধিবাসী মোহামেদি আলি (৫৫)। আভিযানিক দল প্রথমেই তাকে আটক করে। এরপর তাকে মাদকের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তা অস্বীকার করে।
তিনি আরও জানান, এ সময় সঙ্গে থাকা এপিবিএন ডগ স্কোয়াডের সহায়তায় মোহাম্মেদি আলির কক্ষটিতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চলাকালে এপিবিএন ডগ স্কোয়াডের কুকুর অলি মোহাম্মেদির সঙ্গে থাকা কালো একটি ব্যাগ চিহ্নিত করে।
পরবর্তীতে ম্যানুয়ালি ব্যাগটি সার্চ করলে তার ভেতরে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় ২০০ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করা হয়। যার আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা। গত ২০ জানুয়ারি সে আদ্দিস আবাবা- দোহা হয়ে ঢাকায় আসে এবং হোটেলটিতে উঠে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরও জানান, ২০১৭ সালে এয়ারপোর্ট এপিবিএনের ডগ স্কোয়াড হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালন শুরু করে। শুরুতে ৮টি কুকুর থাকলেও বর্তমানে ২২টি কুকুর রয়েছে এপিবিএনের। এ সকল কুকুর বিস্ফোরক এবং মাদক উদ্ধারে পারদর্শী। অভিযানে ডগ অলি এবং তার হ্যান্ডলার সুনেত্রার সহযোগিতায় মাদকের ব্যাগটি শনাক্ত করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোহাম্মেদি আলির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।