দুলাভাইয়ের সঙ্গে তালতলী সোনাকাটা ইকোপার্কে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে তালতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভিকটিমের মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার বিকেলে বরগুনার আমতলী খলিয়ান থেকে দুলাভাইয়ের সঙ্গে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইকোপার্কে ঘুরতে যায় ওই স্কুলছাত্রী। এক পর্যায়ে তাদের রেখে দুলাভাই একটি দোকানে পানি কিনতে যান। এই সুযোগে চার বখাটে এসে মোটরসাইকেল চালককে বলে, ‘তোমরা এখানে প্রেম করতে এসেছো, এটা প্রেমের জায়গা না’। একথা বলেই স্কুলছাত্রীর মুখ বেঁধে ইকোপার্কের জঙ্গলে নিয়ে যায় তারা। মোটরসাইকেল চালক ওই যুবকদের বাধা দিলে তারা তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মোবাইল, মোটরসাইকেলের চাবি ও টাকা ছিনিয়ে নেয়।
কিছুক্ষণ পর দুলাভাই ঘটনাস্থলে এসে মোটরসাইকেলকে উদ্ধার করে এবং ঘটনা স্থানীয়দের জানায়। স্থানীয়রা ওই ভিকটিম স্কুলছাত্রীকে ইকোপার্কের গহীন জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে তালতলী থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ভিকটিম থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে সোহাগ, হাসান, মিজানুর ও জাহিদুল নামে চার যুবকের বিরুদ্ধে তালতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামি সোহাগের বাড়ি কলাপাড়া উপজেলায় হলেও বাকী তিনজন স্থানীয় বখাটে যুবক। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভিকটিমের মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্কুলছাত্রী জানায়, সোহাগ ও হাসান তাকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। আর তাদের সঙ্গে থাকা মিজানুর ও জাহিদুল পাহারা দেয়।
তালতলী থানার ওসি (তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ভিকটিম বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।