ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে দিরাই বাজার থেকে কেনাকাটা সেরে বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশায় ওঠে সে। বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হলেও চালক ও দুই অজ্ঞাতনামা যাত্রী তাকে দিরাই-মদনপুর সড়ক দিয়ে সুনামগঞ্জের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
পরবর্তীতে শান্তিগঞ্জের গণিগঞ্জ বাজার এলাকায় পৌঁছলে দুই যাত্রী কিশোরীর হাত-মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় কিশোরী নিজেকে রক্ষায় তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্বজনদের খবর দেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলন্ত অটোরিকশা থেকে সড়কে পড়ে কিশোরীর ডান চোখ, কপাল, গাল, হাত থেঁতলে গেছে।
কিশোরীর বাবা জানান, গণিগঞ্জের এক ব্যক্তি ফোনে ঘটনা জানালে সেখানে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করেন তিনি।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক জানান, অটোচালক ইমন ও যাত্রী মিঠুকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। পলাতক অপর যাত্রীকে আটকে অভিযান চলছে। পরবর্তীতে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে পুলিশকে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি কিশোরীর খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তার সঙ্গে কথা বলেছেন।