চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে সাভার মডেল থানার কম্পাউন্ডের ভেতরে একটি রুমে ৯ বছরের শিশুকে বলাৎকারের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শেখ রুস্তম আলী (৬০) নামের থানার এক ঝাড়ুদারকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠায় পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নবী হোসেন। এর আগে গত ২৯ মার্চ বিকেলে সাভার মডেল থানার কনফারেন্সরুমে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিশুর মা।
অভিযুক্ত শেখ রস্তম আলী রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানার আড়কান্দি গ্রামের নুরু আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ সাভার থানার আউটসোর্সিং হিসেবে ঝাড়ুদারের কাজ করেন। সাভার গার্লস স্কুলের পেছনে তাজুদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, সাভার মডেল থানা এলাকায় ৯ বছরের শিশুশিক্ষার্থী পরিবারের সঙ্গে থেকে বসবাস করে আসছিল। ওই শিশু গত ২৯ মার্চ বিকেলে থানার পাশে ঘোরাঘুরি করলে চকোলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাভার মডেল থানার কনফারেন্সরুমে নিয়ে যায় থানার ঝাড়ুদার শেখ রুস্তম আলী। পরে সেখানেই তাকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে।
শিশুটি বাসায় গিয়ে পরিবারকে ঘটনা খুলে বললে রাতেই অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা। পরে অভিযুক্তকে থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড চেয়ে পরদিন আদালতে পাঠায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাকে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে আবার তাকে আদালতে পাঠালে জেলহাজতে পাঠান আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নবী হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে থানা কম্পাউন্ডের ভেতরে পুকুরপাড়ের একটি কক্ষে। ঝাড়ুদার থানায় আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে কাজ করত। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে এখন জেলহাজতে আছে।