ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক ‘ভবঘুরেকে’ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার ভোররাতে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহবাগ থানার ওসি মামুন অর রশীদ জানান, রাতে শহীদ মিনারের পেছনে তিনজন মেয়ে একটি ছেলেটিকে মারধর করছে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ যায়। সেখানে বিবস্ত্র ও অচেতন অবস্থায় ওই কিশোরীকে পাওয়ার পর তাকে পাশেই ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। কিন্তু তার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল।
ঘটনাস্থল থেকে খায়ের (৩৬) নামের ওই ভবঘুরেকে আটক করে পুলিশ। তাকে যারা মারছিল, সেই তিন কিশোরীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ওসি বলেন, মৃত মেয়েটি ওই তিন কিশোরীর বান্ধবী। জিজ্ঞাসাবাদে এটাই জানিয়েছে তারা। মেয়েরা শহীদ মিনার এলাকায় ভাসমান অবস্থায় থাকে। গ্রেপ্তার খায়েরও ভাসমান। রাতে খায়ের ওই কিশোরীকে খারাপ প্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। মেয়েটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।