ঢাকার সাভারে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে গরম তেলে ঝলসে দিলেন স্ত্রী। দগ্ধ স্বামীকে ১০ দিন লোকচক্ষুর আড়ালে ঘরেই বন্দি রাখেন তিনি।
খবর পেয়ে রোববার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে পুলিশ।
আহত আমিনুল ইসলাম (৩০) ফরিদপুরের বালিয়াডাঙ্গী থানার রতনাই বাঘা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। তিনি সাভারের ভরারী ডাড পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন।
অন্যদিকে অভিযুক্ত স্ত্রী ফরিদা (২৯) একই জেলার পাংশা থানার হরিণাডাঙ্গী গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে। তিনি হেমায়েতপুরের এজিআই পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন।
আমিনুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা জানান, কয়েকদিন ধরে হেমায়েতপুর নতুনপাড়া এলাকায় মোক্তার হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফরিদার মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। একপর্যায়ে ১৯ নভেম্বর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় আমিনুলের মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গরম তেল ঢেলে দেন তার স্ত্রী। এ সময় মুহূর্তের মধ্যে তার স্বামীর মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়।
তার চিৎকারে বাড়িওয়ালা গিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হেমায়েতপুর জামাল ক্লিনিকে ভর্তি করেন। আমিনুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার স্ত্রী বাসায় নিয়ে আসেন এবং বিষয়টি আত্মগোপন করেন। ১০ দিন ঘরেই বিনা চিকিৎসায় পড়েছিলেন আমিনুল। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে থানায় খবর দেন। পুলিশ আমিনুলকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠায়।
এ বিষয়ে বাড়িওয়ালার স্ত্রী ইয়াছমিনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং একপর্যায়ে বিষয়টি জানতেন বলে স্বীকার করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। আমিনুলের স্ত্রী ফরিদা পুলিশ হেফাজতে।