সুনামগঞ্জের ছাতকে টিকটক ভিডিও করা নিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক যুবক নিহত ও আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় কয়েকজনকে আটক করা হয়। বুধবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার সুরমা ব্রিজের গোল চত্বর এলাকায় বাঁশখলা গ্রাম ও মুক্তিরগাঁও গ্রামের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। নিহত যুবকের নাম সাইফুল ইসলাম (৩৫)। মুক্তিরগাঁও গ্রামের চমক আলীর ছেলে তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুরমা ব্রিজের গোল চত্বর এলাকায় বুধবার বিকালে ছাতকের দুইজন মেয়ে ও মুক্তিরগাঁও গ্রামের কয়েকজন যুবক টিকটক ভিডিও বানাচ্ছিল। এ সময় বাঁশখলা গ্রামের যুবকরা তাদের বাধা দেয় ও অশোভন আচরণ করে। এর জেরে মুক্তিরগাঁও গ্রামের আব্দুস সোবানের ছেলে মামুনকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
এই খবর মুক্তিরগাঁও গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসীরা লাঠি-সোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে বাঁশখলা গ্রামে গিয়ে লোকজনকে ডাকাডাকি শুরু করে। এ সময় বাঁশখলা গ্রামের বাসিন্দারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রঞ্জয় চন্দ্র মল্লিক বলেন, প্রায় চার ঘণ্টার সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ছাতক ও দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ গিয়ে ফাঁকা রাবার বুলেট ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।