টাঙ্গাইলে ভাবিকে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগ উঠেছে তার দেবরের বিরুদ্ধে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ওয়ার্শী ইউনিয়নের দারগ আলীর ছেলে মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। ওয়ার্শী ইউনিয়নে গৃহবধূর নিজ বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা ভাবি তার দুই শিশু সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে আমার দেবর আমাকে দীর্ঘদিন যাবৎ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার দেবর গত বছরের ২৮ জুলাই আনুমানিক রাত ১১টার দিকে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বরাবর একটি মামলা দায়ের করি। কিন্তু মামলা করেও কোনো তদন্ত ও ফলাফল পাচ্ছি না।’
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত বছরের ২৪ এপ্রিল মো. লাভলু দেওয়ানের সঙ্গে ওই ভুক্তভোগীর বিয়ে হয়। সংসার চলাকালীন গৃহবধূর এক ছেলে সন্তান তামিম (৯) ও একটি কন্যা সন্তান লাভলী (৭) জন্ম নেয়। এরপর গত বছরের ২৮ জুলাই আনুমানিক রাত ১১টায় গৃহবধূর দুই সন্তান নানির বাড়িতে বেড়াতে যায়। এই সুযোগে সাইফুল তার ভাবিকে ধর্ষণ করে। বিবরণ থেকে আরও জানা যায়, ভুক্তভোগীর শাশুড়িকে বিষয়টি জানালে নিজ ছেলেকে রক্ষার জন্য গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দেন। এ ছাড়া শিশু সন্তানসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন। তার স্বামীর সংসার রক্ষা ও শিশুদের বাঁচাতে বিষয়টি গোপন রাখলেও এর মধ্যে ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়।
এ বিষয়ে সমাজে জানাজানি হলে কেশবপুর গ্রামের চাঁন মিয়া বরুটিয়া গ্রামের হায়দার, জাকির, শাহিনসহ আরও মাতাব্বরে উপস্থিতিতে একটি গ্রাম সালিসেরও আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, গৃহবধূর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে সৌাদ আরব থাকেন। কিন্তু পুনরায় তিন বছর আগে বিদেশ যাওয়ার পর তিনি বাড়িতে আসেননি। মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যায়, ভুক্তভোগী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে ফোন রেখে দেন। তারপর তাকে বারবার ফোন করার পরও যোগাযোগ করা যায়নি।
ভাওড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে আমজাদ হোসেনের ছোট বোন জামাই অ্যাডভোকেট মো. সাইদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় টাঙ্গাইলের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া এটি কোর্ট থেকে ডিবিতে পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই মো. আলমগীর হোসেন জানান, এই ঘটনায় টাঙ্গাইলের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে কোনো মামলা তাদের অফিসে এখনো যায়নি।