নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এক সদস্যের পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
সোমবার (৩০ মে) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ ফাহমিদা কাদের এ আদেশ দেন। রায়ে দণ্ডিত ব্যক্তিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
দণ্ডিত সুমন আকন্দ (৪০) বরিশাল জেলার কোতোয়ালি থানার কাওয়ার চর গ্রামের মকবুল আকন্দের ছেলে।
টাঙ্গাইল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) টাঙ্গাইল শহরতলীর নগরজলফৈ এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে। সুমন আকন্দ ওই চেকপোস্টের কাছে আসার পর তাকে তল্লাশির জন্য র্যাব সদস্যরা সংকেত দেন। এসময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব তাকে আটক করে।
তার ব্যাগ থেকে চারটি জিহাদি বই, একটি স্টিলের ছুরি, চাকু, লোহার বাটালসহ কিছু দেশীয় অস্ত্র ও মেকানিক্যাল যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জেএমবির সদস্য বলে স্বীকার করেন। তিনি ঢাকার রামপুরা এলাকায় অবস্থান করে জঙ্গিবাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। নাশকতার উদ্দেশ্যে টাঙ্গাইল এসেছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানান।
ওইদিনই র্যাব-১২ এর সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের তৎকালীন কোম্পানির উপ-সহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সুমন আকন্দকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে টাঙ্গাইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী ২০২০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত সুমন আকন্দকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।