পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ছেলের ওষুধ কেনার টাকা চাওয়ায় শিলপাটা দিয়ে স্বামী শামীম হোসেনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন ফিরোজা বেগম নামের এক নারী।
গুরুতর অবস্থায় সোমবার (১২ এপ্রিল) সকালে শামীম হোসেনকে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর আগে রোববার রাতে উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শামীম হোসেন ওই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রী।
আহত শামীম হোসেন বলেন, চার বছর আগে ফিরোজা আক্তারের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর আমাদের এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকে মা-বাবার কাছ থেকে আলাদা হয়ে সংসার করার চাপ দেয়। এ নিয়ে তার সঙ্গে ঝগড়া লেগেই ছিল।
রোববার সন্ধ্যায় ছেলে হঠাৎ কয়েকবার বমি করলে বাজার থেকে ওষুধ আনি। ওষুধ কেনায় টাকা শেষ হওয়ায় বাড়ি এসে স্ত্রীর কাছে নিজের জমানো টাকা চাই। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে পাশে থাকা শিলপাটা দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। এতে অজ্ঞান হয়ে যাই।
শামীম আরও বলেন, এর আগেও কয়েকবার ঝগড়া হয়েছে। কিছুদিন আগে গ্লাস ভেঙে নিজের গলা কাটার চেষ্টা করেছিল ফিরোজা। সামান্য ঘটনায় বাড়িতে অশান্তি লাগিয়ে দেয় ফিরোজা।
চিলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল মোস্তাহারুল নয়ন বলেন, গতকালের ঘটনায় শামীমের কোনো দোষ ছিল না। এর আগে বিভিন্ন সময় শামীম ও ফিরোজাকে নিয়ে সালিস হয়েছে। কিন্তু ফিরোজা কারও কথাই শোনে না। সর্বশেষ শামীমের মাথায় শিলপুতা দিয়ে যেভাবে আঘাত করেছে; বেঁচে আছে এটাই সৌভাগ্য।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল হোসেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।