ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ননদের ছোড়া কেমিকেল জাতীয় দাহ্য পদার্থে ঝলসে গেছে সুমি খাতুন নামের এক গৃহবধূর শরীর। এ ঘটনায় শৈলকুপায় থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করায় অভিযুক্ত ননদ যমুনা খাতুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর ফুফু আয়না থাকুন জানান, গত দুই বছর শৈলকূপার উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নের আলমগীর হোসেনের মেয়ে সুমি খাতুনের পাশ্ববর্তী চাদপুর গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে নয়ন হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ে পর সুমি খাতুন একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। শিশুটির বয়স মাত্র ৭ মাস।
এরই মাঝে স্বামীর সংসারে পারিবারিক কলহের জের ধরে সুমি পিতার বাড়িতে চলে আসেন। এরপর দুই পরিবারের মধ্যে বৈঠক শেষে সুমিকে আবারও তার স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। কিছুদিন পরেই তার ননদ সুমিকে পিছন থেকে মাথার উপরে এসিড ঢেলে সুমির শরীর ঝলসে দেন।
এদিকে, থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে গত শনিবার দুপুরে বাড়িতে থাকা অবস্থায় সুমির শরীরে কেমিকেল জাতীয় দাহ্য পদার্থে ঢেলে দেয় ননদ যমুনা খাতুন। পরে সেখান থেকে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সুমিকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে সুমির বাবার বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রবিবার বিকেলে সদর হাসাপাতালে ভর্তি করে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হলে পুলিশ অভিযুক্ত ননদকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, সুমির শরীরের ১৫ ভাগ পুড়ে গেছে। সুমির শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মিথিলা পারভীন।