জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মোহনা নামে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী খুন হয়েছে মা বেদেনা বেগমের হাতে। মা বেদনাকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার সকাল ১১টার দিক উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের কুটুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কুটুরিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ আলীর এক মেয়ে ও এক ছেলের মধ্য বড় মোহনা।
বাড়ির পাশে চদনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল মোহনা। বাবা সৌদিতে থাকায় মোহনা প্রায়ই টাকা চেয়ে বায়না ধরে আসছে মা বেদনা বেগমের কাছে। অনেক সময় মা রাগ ক্ষোভর মধ্য দিয়েও মেয়েকে খুশি করত তার বায়না ধরা টাকা দিয়ে।
রবিবার সকালে একইভাবে মার কাছ থেকে দশ টাকা চেয়ে নেয় মোহনা। এরপর ফের দশ টাকা চেয়ে মার পিছ পিছ ঘুরতে থাকে। এতে মা বেদনা বেগমের প্রচণ্ড রাগ হয় মেয়ের ওপর। একপর্যায়ে বসতঘরে থাকা ‘পাটার শিল’ দিয়ে মেয়ে মোহনার মাথায় আঘাত করে মা। এতে মোহনা মাটিতে থুবড়ে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়।
নিহত মোহনার দাদা আবুল কাশেম বলেন, তার পুত্রবধূ বেদনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছে। সে মাঝে মধ্যেই ভালো, আবার হঠাৎ অস্বাভাবিক হয়ে আত্মহত্যাও করতে যায়।
তার মাথায় অস্বাভাবিকতার ফলে মা বেদনার হাতের ‘পাটার শিলর’ আঘাতে মেয়ে মোহনার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করেন তিনি।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মজিদ জানান, মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে এবং তার মাকে আটক করা হয়েছে।