জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল থেকে তুলি আক্তার (২০) নামে এক ভুয়া নার্সকে থানায় সোপর্দ করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২০ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে পুলিশের নিকটে সোপর্দ করা হয়।
ভুয়া নার্স আটক হওয়া তুলি আক্তার জেলার ভাদশা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের রমজান আলী মেয়ে বলে জানা গেছে। বর্তমানে শহরের বারিধারা কালাম টাওয়ারের ভাড়াটিয়া বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
পুলিশ ও হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, সিনিয়র স্টাফ নার্সের পোশাক পরিহিত অপরিচিত এক নার্সকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তার গতিবিধি সন্দেহজনক হলে অন্যান্য নার্সরা তাকে জিজ্ঞেস করে। সে তখন নতুন এসেছে বলে ও এলোমেলো অসংগতিপূর্ণ কথাবার্তা বলে। পরে তাকে উপসেবা তত্ত্বাবধায়কের রুমে নিয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে জানায় সে কোনো নার্স নয়। এ সময় হাসপাতালের অন্যান্য নার্সদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক নাজমা খাতুন বলেন, বিভিন্ন সময়ে শোনা যায় হাসপাতালে শিশু, ঔষধ, মোবাইলসহ অনেক কিছু চুরি হয়। এদের মতো ভুয়া ও প্রতারকেরা আমাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এসব করে। ফলে আমাদের দুর্নাম হয়, আমরা অপাধীদের শাস্তি চাই।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. শহীদ হোসেন বলেন, ভুয়া নার্স সন্দেহে তুলি আক্তার নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিকেলে ওই ভুয়া নার্সকে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।