শরীয়তপুর সদর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বাড়ি থেকে দুই তরুণীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ মে) পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (৫ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন, তোতা বয়াতীর ছেলে সুমন বয়াতী (৩৬), আব্দুর রব বয়াতীর ছেলে ইয়াসিন বয়াতী (৩০), হাসান সরদারের ছেলে রাসেল সরদার (৩০), খোকন সরদার (২৮), শাহীন সরদারসহ (২৪) সাত থেকে আট জন।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, সুমন বয়াতী (৩৬), রাসেল সরদার (৩০), ইয়াসিন বয়াতী (৩০), খোকন সরদার (২৮), জুয়েল ফরাজী (৩০), শাহীন সরদার (২৪)।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানান, উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নে ২৩ শতাংশ জমি নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার একপক্ষের মেয়ে ও তার বান্ধবীকে অপরপক্ষ তুলে নিয়ে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা আটজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে শুক্রবার রাতেই অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য তাদের ছাড়িয়ে নিতে অতিরিক্ত তদবির করায় তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।