নন্দিগ্রাম (বগুড়া)প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে সাংবাদিক পরিবারের ওপর হামলার সময় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সহযোগিতা মেলেনি। থানা পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
সম্প্রতি উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের দাসগ্রাম বাজার সংলগ্ন সড়কের ওপর সাংবাদিক আব্দুল গফুরের বাবা আব্দুস ছামাদকে মারপিটের ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক গফুর দাসগ্রাম সোনারপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) কর্মী। হামলায় অভিযুক্ত মোজাফফর আলী ওই এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, দামুয়াপাড়া ইসমাইল ও সাইজ উদ্দিনের কাছ থেকে ২০১৩ সালে বুড়ইল ইউনিয়নের দাসগাঁ মৌজার ৮শতক জমি ক্রয় করেন সাংবাদিক গফুর। জমি বুঝে পেয়ে একযুগ ধরে ভোগদখল করছেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি জমিতে হাল চাষ করতে গেলে বাধা দেয় প্রতিপক্ষ মোজাফফর ও তার লোকজন। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে পিতাপুত্রের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক আব্দুল গফুর অভিযোগ করেন, তার বাবাকে মারপিটের সময় ৯৯৯-এ কল করার পরও থানা পুলিশের সহযোগিতা পাননি। প্রতিপক্ষের লোকজন দফায় দফায় হুমকি দিচ্ছে। থানা পুলিশের ওপর আস্থা রাখতে পারছি না। নিরুপায় হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অভিযুক্ত মোজাফফর আলী দাবি করেন, জমির দলিলে তার মায়ের নামে রয়েছে। আদালত আপিলের রায় জমির আসল মালিক নির্ধারণ করবে। মারপিটের কোনো ঘটনা ঘটেনি, বাকবিতন্ডা হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি তারিকুল ইসলাম বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল বিষয়ে সবসময় তৎপর পুলিশ। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন, অবশ্যই পদক্ষেপ নেব। অবহেলার সুযোগ নেই, বিষয়টির খোঁজ নিচ্ছি। মারপিটের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।