লক্ষ্মীপুরে শাশুড়িকে আপেল না দেওয়ায় গৃহবধূ নুপুর আক্তারের (২৭) চোখে-মুখে বেগম মরিচের গুড়া মেরে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শাশুড়ি শুকরি বেগমের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে সদর উপজেলার রাজীবপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনাটি নুপুর আক্তার স্বামী মো. সুজনকে জানালে তিনি বিশ্বাস না করে উল্টো এলোপাথাড়ি মারধর করলে নুপুর অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রাজীবপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে অটোরিকশা চালক সুজনের সঙ্গে ৭ বছর আগে আবিরনগর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে নুপুরের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-শাশুড়ি কারণে-অকারণে তাকে মারধর করে। বৃহস্পতিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নুপুরকে গালমন্দ করে শাশুড়ি। এতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাশুড়ি নুপুরের চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। সেই সাথে তাকে চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মেরে আহত করা হয়।
এদিকে ঘটনার কিছু সময় পর স্বামী সুজন বাড়িতে আসে। নুপুর তখন তাকে বিষয়টি জানায়। কিন্তু তিনি স্ত্রীর কথা বিশ্বাস না করে তিনি রেগে যায়। পরে তিনি নিজেও মারধর করলে নুপুর অচেতন হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গৃহবধূর ভাই জহির হোসেন ও ইসমাইল হোসেন বোনকে উদ্ধার করতে ছুটে যায়। এর আগেই স্থানীয়রা ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করে।
নুপুরের ভাই ইসমাইল হোসেন বলেন, সুজন ও তার মা কারণে-অকারণে আমার বোনের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। একাধিকবার সালিশ বৈঠকে বসে তাদেরকে মারধর না করতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু তারা সংযত হয়নি।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ায় মা-ছেলেকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ভূক্তভোগীকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।