চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে শাহিন আলম (২৫) নামের এক মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলমডাঙ্গার আসাননগর আলামিন সোসাইটি হাফেজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (৩০ মে) সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার শিক্ষক শাহিন আলম ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামে অবস্থিত আলামিন সোসাইটি হাফেজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং। ওই মাদরাসায় কয়েক বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন শাহিন আলম। মাদরাসার হেফজখানায় লেখাপড়া করে একই উপজেলার বাদেমাজু গ্রামের এক কৃষকের ছেলে। শুক্রবার (২৮ মে) ভোরে পড়াশোনা করার সময় ওই শিশুকে শয়নকক্ষে ডাকেন শিক্ষক শাহিন আলম। কক্ষে যাওয়ার পর শিশুটিকে হাত-পা টিপতে বলেন তিনি। হাত-পা টেপার এক পর্যায়ে বলাৎকার করেন ওই শিক্ষক।
বিষয়টি কাউকে বলতে নিষেধও করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। পরে গোপনে মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি যায় নির্যাতনের শিকার শিশুটি। বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনকে জানায়। শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি মাদরাসা কমিটির লোকজনকে জানান ছাত্রের বাবা।
নির্যাতনের শিকার মাদরাসাছাত্রের বাবা বলেন, ‘ঘটনার বিষয়টি মাদরাসা পরিচালনা কমিটিকে অবগত করি। কিন্তু মাদরাসা পরিচালনা কমিটি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তারা নানা টালবাহানা শুরু করেন। পরে বাধ্য হয়ে থানায় গিয়ে মামলা করি।’
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, ঘটনায় শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন শিশুটির বাবা। মামলার পর মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহিন আলমকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।