রাজধানী-নারায়ণগঞ্জের সংযোগ সড়কের ৩০০ ফিট এলাকায় বালু নদীর ব্রিজের কাছ থেকে কমিউনিটি পুলিশ পরিচয়ে সয়াবিন তেলভর্তি একটি ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। লুট হওয়া তেলের দাম প্রায় ২১ লাখ টাকা।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনা ঘটে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘটনাস্থল নিয়ে ডিএমপির একটি থানা ও নারায়ণগঞ্জের একটি থানার মধ্যে ঠেলাঠেলির কারণে ভুক্তভোগীকে আইনগত সহযোগিতা পেতে বিলম্ব হচ্ছে।
ট্রাকচালক বাবুল অভিযোগ করেন, বুধবার সকালে ঢাকা মেট্রো ‘ট’ ১১-৯২২৫ নম্বর ট্রাকযোগে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সিটি অয়েল মিল থেকে ৬০ ড্রাম সয়াবিন (১১ হাজার ১৬০ কেজি) তেল নিয়ে ময়মনসিংহের ভালুকার একটি মিলে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৩০০ ফিটের খিলক্ষেত থানার নীলা মার্কেট পার হয়ে বালু নদীর সেতু পার হয়ে ১০০ গজ সামনে এগোলে কমিউনিটি পুলিশের জ্যাকেট পরা একদল লোক গতিরোধ করে গাড়ি ও পণ্যের কাগজ দেখতে চায়। এরমধ্যে ট্রাকচালককে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। আরেকটি গ্রুপ ট্রাকভর্তি তেল নিয়ে চম্পট দেয়। পরে বাবুলকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় মাইক্রোবাস থেকে ফেলে দেয়।
তেল ও ট্রাকের মালিক সাভার নামাবাজারের শাহীন এন্টারপ্রাইজের মালিক শামীম আহমেদ। তিনি বলেন, ৩০০ ফিট বালু নদীর ব্রিজের কাছ থেকে কমিউনিটি পুলিশ পরিচয়ে সয়াবিন তেলভর্তি আমার ট্রাক ছিনতাই হয়েছে। ট্রাকে ৬০ ড্রাম সয়াবিন তেল ছিল। যার মূল্য প্রায় ২১ লাখ টাকা। ট্রাকভর্তি তেল ছিনতাইয়ের পর কোন থানায় যাবেন, কার কাছে অভিযোগ করবেন এ নিয়ে ‘দোটানায়’ পড়ে যাই। রূপগঞ্জ পুলিশ বলছে, এটা ডিএমপিতে পড়েছে। ডিএমপি বলছে রূপগঞ্জে পড়েছে। লিখিত অভিযোগ নিয়ে তিনি খিলক্ষেত থানায় যাচ্ছেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি খিলক্ষেত থানার সামনে রয়েছেন বলেও জানান।
ডিএমপির খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে ঘটনা আমরা জানতে পারি। এরপর খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঘটনাটি আমাদের থানা এলাকায় নয়। এটি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা এলাকায়।
অন্যদিকে, রূপগঞ্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, আমি ট্রাকচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনাটি ঘটেছে ডিএমপির খিলক্ষেত থানা এলাকায়। এ বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নেবে।