ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় জয়ন্তি রানী রবিদাসকে (৪৫) ছুরিকাঘাতে খুন করেছে এক যুবক। তবে খুনের পর যুবক নিজেই থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেন।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার চেচুয়া কুড়িপাড়া গ্রামের ঋষিপাড়া এলাকায় খুনের ঘটনা ঘটে।
নিহত জয়ন্তী রানী রবিদাস কালুয়া রবি দাসের স্ত্রী। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি উপজেলার চেচুয়া কুড়িপাড়া গ্রামের ঋষিপাড়া এলাকার ক্ষুদিরাম রবিদাসের ছেলে জহর রবিদাস (৩২)। জয়ন্তী রানী সম্পর্কে জহর রবিদাসের আপন চাচি।
জানা গেছে, ঋষিপাড়ার ক্ষুদিরাম রবি দাস ও কালুয়া রবী দাস দুই ভাই একই বাড়িতে বসবাস করতেন। তবে সম্প্রতি, কালুয়া রবি দাসের স্ত্রী জয়ন্তি রানী রবি দাসের সঙ্গে তার বড় জা ক্ষুদিরাম রবিদাসের স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনাও ঘটে। পরে স্থানীয়রা সালিশ করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। তবে সালিশের সময় ক্ষুদিরাম রবি দাসের ছেলে জহর রবি দাস ঢাকায় ছিলেন।
এদিকে সংবাদ পেয়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় রবি দাস ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরে মাকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পান। এতে রবিদাস ক্ষুব্ধ হয়ে ধারালো চাকু নিয়ে চাচি রানী রবি দাসকে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। এ সময় স্থানীয়রা রানী রবিদাসকে উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে রানী রবিদাস মারা যান।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, চাচিকে খুন করে রবিদাস নিজেই থানায় এসে ধরা দেয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।