চট্টগ্রাম কাস্টমসে বৈদেশিক ডাকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আয়কর বিভাগের কর্মচারী মজুমদার কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাতে নগরীর হালিশহর থেকে গ্রেপ্তারের পর বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয় তাকে।
কাস্টম হাউসের বৈদেশিক ডাকে আসা একটি চালান থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও ৬০ রাউন্ড গুলি উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হয় কামরুল হাসান। তিনি চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এর অফিস সহায়ক পদে কর্মরত রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ইতালি থেকে তার নামে চালানটি বাংলাদেশে আসে।
২১ ফেব্রুয়ারি, সোমবার রাত ১১টার দিকে নগরের ডবলমুরিং থানা পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।
উপ-কমিশনার আবদুল ওয়ারিশ রাতেই বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযানে কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে পুলিশ জানায়, গৃহস্থালি পণ্যের আড়ালে ইতালি থেকে পাঠানো অস্ত্রের চালানটি কামরুলের ঠিকানায় আসে। চালানটি আটকের পর থেকেই পলাতক ছিলেন কামরুল।
গত রোববার দুপুরে ইতালির রোম থেকে আসা চালান থেকে দু’টি এইটএমএম পিস্তল ও ৬০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে কাস্টমস। ইতালি থেকে রাজীব বড়ুয়া নামে একজন চালানটি পাঠান। রাজীব বড়ুয়াকেও এ মামলার আসামি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের প্রিভেন্টিভ শাখা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, পার্সেলের প্যাকেটে অবৈধ বস্তু রয়েছে।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পিস্তল দুটি ইতালির তৈরি।
এ ঘটনায় রোববার রাতে নগরের বন্দর থানায় মামলা করেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। মামলায় ডাক প্রেরক রাজীব বড়ুয়া ও প্রাপকের ঠিকানায় নাম থাকা কামরুল হাসানকে আসামি করা হয়।