সাতক্ষীরার আশাশুনি থানা সদরের কোদন্ডা গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এক প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে কোদন্ডা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। এর আগে সকালে একই গ্রামের ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানি ঘটান প্রধান শিক্ষক।
আটক প্রধান শিক্ষক মঈনুর ইসলাম (৪০) কোদন্ডা গ্রামের বাবর আলী গাজীর ছেলে ও কোদন্ডা কেবিএ প্রি ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক। মেয়েটি (১২) ওই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
স্কুলছাত্রী মেয়েটির বাবা জানান, সকালে আমি ও স্ত্রী মেয়েকে বাড়িতে রেখে পার্শ্ববর্তী আমাদের পুরাতন বাড়িতে বাঁশ কাটতে যাই। তখন মেয়ে বাড়িতে একা ছিল। এ সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মঈনুর ইসলাম বাড়িতে আসে। আমার মেয়ে তাকে আপ্যায়ন করে। তখন প্রধান শিক্ষক মেয়েকে ঘরে যেতে বলে। শিক্ষকের কথায় মেয়ে ঘরে যায়। তারপর ঘরে ঢুকেই মেয়েকে জড়িয়ে ধরে ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন মেয়েটি চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন দৌঁড়ে আসে। এ সময় মঈনুর পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমার মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনার জন্য শিক্ষক মঈনুর ইসলামের আমি সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।
এ ঘটনায় আশাশুনি থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কবীর জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধান শিক্ষক মঈনুর ইসলাম ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান। মেয়েটি তার স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। কথা বলার এক পর্যায়ে ছাত্রীকে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। এরপর পানি খেতে চায়। পানি দেয়ার সময় মেয়েটির হাত ধরে টেনে ঘরের দরজার আড়ালে নিয়ে জড়িয়ে ধরে ও স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়।
তিনি বলেন, ঘটনাটি একটি জঘন্যতম অপরাধ। এটি যৌন নিপীড়নের মধ্যে পড়ে। অভিযোগের পর প্রধান শিক্ষক মঈনুর ইসলামকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন